OrdinaryITPostAd

পদ্মা নদী -গোদাগাড়ী উপজেলা -রাজশাহী জেলা সম্পর্কে জানুন

দেশের অন্যতম প্রধান নদী পদ্মা। এর সাথে মানুষের অনেক সুখ দুঃখের লোক গাঁথা জড়িত রয়েছে। পদ্মার কড়াল গ্রাসে যেমন বিলীন হয়েছে অনেক মানুষের সহায় সম্বল তেমনি একে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জীবিকা নিবার্হ করছে অনেক মানুষ। নদীটি কৃষি,জীব বৈচিত্র ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এ ছাড়া পর্যটক সহ তরুন তরুনীরা বিনোদনের উদ্দেশ্য নৌকায় বিচরণ করে থাকে। দৈর্ঘ্য পদ্মা বাংলাদেশের ২য় দীর্ঘতম নদী,এর দৈর্ঘ্য ৩৬৬ কিলোমিটার। পদ্মা নদী পদ্মা বাংলাদেশের প্রধান নদী। হিমালয়ে উৎপন্ন গঙ্গানদীর প্রধান শাখা এবং বাংলাদেশের তৃতীয় দীর্ঘতম নদী। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ শহর রাজশাহী এই পদ্মার উত্তর তীরে অবস্থিত। পদ্মার সর্বোচ্চ গভীরতা ১,৫৭১ ফুট (৪৭৯ মিটার) এবং গড় গভীরতা ৯৬৮ফুট (২৯৫ মিটার)। বাংলাদেশে নদীটির দৈর্ঘ্য ১২০ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ১০ কিলোমিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক পদ্মা নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের নদী নং ৩২। মূলত গঙ্গার নিম্ন স্রোতধারার নাম, আরও নির্দিষ্টভাবে বলা যায় গোয়ালন্দ ঘাটে গঙ্গা ও যমুনার সঙ্গম স্থলের পরবর্তী মিলিত প্রবাহই পদ্মা নামে অভিহিত। বাংলাদেশে গঙ্গার প্রবেশ স্থল (নবাবগঞ্জ জেলাধীন শিবগঞ্জ উপজেলার মানাকোসা ও দুর্লভপুর ইউনিয়ন) থেকে নদীটি পদ্মা নামে বহুল পরিচিত। এই নামটি (পদ্মা) গঙ্গা নদীর ডান তীর থেকে বিভক্ত হয়ে আসা ভাগীরথী নামক শাখাটির উৎসস্থল পর্যন্ত ব্যবহূত হয়, এবং হিন্দুমতে এই ধারাটিই গঙ্গার ধর্মীয় পবিত্রতা বহন করে। নদীজ ভূমিরূপ বিদ্যাগতভাবে যমুনার সাথে সঙ্গমস্থলের পূর্ব পর্যন্ত প্রবাহটিকে গঙ্গা নামে এবং সঙ্গমস্থল পরবর্তী নিম্নস্রোতধারাকে পদ্মা নামে অভিহিত করা অধিকতর সঠিক। পদ্মা কখনও কখনও ভুলবশত গঙ্গা নামে উল্লিখিত হয়। ব্রহ্মপুত্রের স্থানান্তরিত প্রবাহের ফলে এই নদীখাতের সৃষ্টির কারণে শুধুমাত্র নয় বরং বৎসরের অধিকাংশ সময়ে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা গঙ্গার তুলনায় পদ্মার প্রবাহে অধিকতর ভূমিকা রাখে বাংলাদেশের প্রধান নদ-নদী নদী যে অঞ্চলে উৎপত্তি লাভ করে তাকে নদীর উৎস এবং যে স্থানে সমুদ্রে বা হ্রদে মিলিত হয় সেই স্থানকে মোহনা বলে নদীর চলার পথে কখনও কখনও ছোট ছোট অন্যান্য নদী বা জলধারা এসে মিলিত হয়ে প্রবাহ দান করে- এগুলো উপনদী নামে পরিচিত। একটি নদী এবং এর উপনদীসমূহ একত্রে একটি নদীপ্রণালী বা নদীব্যবস্থা (river system) গঠন করে ভূ-পৃষ্ঠ কখনও পুরোপুরি সমতল নয় ফলে তৈরী হয় শাখা নদীর। গতিপ্রকৃতি গঙ্গোত্রী হিমবাহ ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের উত্তরকাশী জেলায় অবস্থিত। এটি তিব্বত সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত। গঙ্গা নদীর প্রধান উৎসগুলোর মধ্যে একটি এই হিমবাহের আয়তন প্রায় ২৭ ঘন কিলোমিটার।[১] এই হিমবাহটি প্রায় ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ২ থেকে ৪ কিলোমিটার প্রশস্ত। হিমবাহের চারপাশে গঙ্গোত্রী পর্বতশ্রেণী অবস্থিত, যার মধ্যে রয়েছে শিবলিং, থালয় সাগর, মেরু এবং ভাগীরথী তৃতীয় পর্বতশৃঙ্গ, যেগুলো অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং পর্বতারোহণ পথের জন্য বিখ্যাত। এই হিমবাহটি চৌখাম্বা পর্বতশৃঙ্গের নিচে একটি সার্ক অঞ্চলে উৎপন্ন হয়, যা পর্বতশ্রেণীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। গঙ্গোত্রী হিমবাহের শেষ প্রান্তটি একটি গরুর মুখের মতো দেখায় এবং সেই স্থানটিকে গোমুখী বা গোমুখ বা গৌমুখ বলা হয়। গঙ্গোত্রী শহর থেকে প্রায় ১৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গোমুখ হলো ভাগীরথী নদীর সঠিক উৎস, যা গঙ্গার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপনদী। গোমুখটি শিবলিং পর্বতের পাদদেশের কাছে অবস্থিত; মাঝখানে অবস্থিত তপোবন মেঠো। উপনদী এবং শাখানদী পদ্মার প্রধান উপনদী মহানন্দা এবং পুনর্ভবা। মহানন্দা উপনদীটি জেলা রাজশহি এবং পুনর্ভবা বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পদ্মার বিভিন্ন শাখানদীর মধ্যে গড়াই, বড়াল, আড়িয়াল খাঁ, কুমার, মাথাভাঙ্গা, কপোতাক্ষ ইত্যাদি অন্যতম। আবার পদ্মার বিভিন্ন প্রশাখা নদীসমূহ হলো- মধুমতী, পশুর, ভৈরব ইত্যাদি। এই নদীগুলো কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী, যশোর, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, নড়াইল, মাগুরা, বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী ইত্যাদি জেলার উপর দিয়ে বিস্তৃতি লাভ করেছে।[৫] সাহিত্যে পদ্মা নদী মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিখ্যাত উপন্যাস পদ্মা নদীর মাঝি এই নদীর তীরের মানুষের জীবনকে কেন্দ্র করেই লেখা। পদ্মার নৈসর্গিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নানাভাবে প্রভাবিত করেছে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে। তার বিখ্যাত কিছু গানে পদ্মার হারানো ঐতিহ্য ও সৌন্দর্য্য ফুটে উঠেছে।[৬] প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক আবু ইসহাক রচিত "পদ্মার পলিদ্বীপ" উপন্যাসটির উপজীব্য পদ্মার পাড়ের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা। [৭]

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url